২০২৭ সালের কোরবানি ঈদ কত তারিখে
২০২৭ সালের কোরবানির ঈদ কবে সে সম্পর্কে জানার জন্য অধিকাংশ মানুষ গুগল এ সার্চ করে থাকেন।সামনে কোরবানি ঈদ মুসলমানদের একটা বড় আনন্দের দিন আসতে চলেছে।
আসসালামু আলাইকুম।আমার নাম তারেক মাহমুদ আমি এই পোস্ট এর লেখক।আমার এই পোস্ট লেখার মূল কারণ হলো মানুষ যেন গুগল এ সার্চ দিয়ে ২০২৫ সালে ঈদুল আজাহার সম্ভাব্য তারিখ, ঈদুল আজাহা কি এবং এই দিন এ মানুষ কি করে তার একটা সঠিক ধারণা পাই।সান্ডা খাওয়া কি জানতে এখানে ক্লিক করুন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ
কোরবানি ঈদ কি
- কোরবানি উর্দুতে ব্যবহার হয়ে থাকে ত্যাগের অর্থে। আর পশু কোরবানি বলতেও এটি একটা ত্যাগেরই অংশ যা ত্যাগের শিক্ষা বহন করছে।ইব্রাহিম (আঃ) এর ত্যাগের স্বাক্ষর হলো পশু কোরবানি এর মাধ্যমে ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহ্র জন্য বিশাল অনেক বড় যে ত্যাগ করেছিলেন আল্লাহ্র কথা মানতে গিয়ে নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন এবং তিনি ত্যাগ করেই পরিক্ষাই পাশ করেছিলেন।আর এই কোরবানি যেহুতু তার স্বাক্ষর সেই জন্য আমাদের সমাজে উর্দুতে সচারচর যে কোরবানি এই শব্দটি ব্যাবহার হয় সেটাই প্রচলিত আছে অর্থাৎ ত্যাগ করা কোরবানি।আরবিতেও কোরবান শব্দটি আছেন যেটি আল্লাহ্ তায়ালা কোরাআন এ ব্যবহার করছেন।
- আদম (আ) এর দুই ছেলে হাবিল এবং কাবিল উভয়য়ে আল্লাহ্র কাছে আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য তারা ছদকা পেশ করেছিল নৈকট্য অর্জন করার জন্য।অর্থাৎ তারা অভয়য়ে এমন বস্তু পেশ করেছেন যার মাধ্যমে আল্লাহ্র নৈকট্য অর্জন করা যায় সেই অর্থে কোরবান মানে হলে আল্লাহর কাছে নৈকট্য অর্জন করার মাধ্যম বা উপায়।অর্থাৎ ত্যাগ করা বা আল্লাহর কাছে নৈকট্য অর্জন করার মাধ্যম এই হলো কোবানির সংক্ষিপ্তও শাব্দিক পরিচিতি।আর ইসলামিক শরিয়তে কোরবানি বলা হয় জিলহজের ১০ তারিখ এ এবং তার পরবর্তী যে দিন গুলতে কোরবানি করা যায় সে দিন গুলোর ভিতরে কোন অনুমোদিত পশু (যে গুলো জবাই করলে সওয়াব হয়) সে গুলো আল্লাহ্ কে সন্তুষ্ট করার নাম হলো কোরবানি।
২০২৭ সালে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
ঈদুল ফিতর এর পর ঈদুল আজাহা মুসলমানদের কাছে আরেকটা ধর্মীয় খুসির বা উৎসব এর দিন
যা কোরবানি ঈদ নামে পরিচিত।এই ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে আরবা আমিরাত
জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটি। ।এটি পবিত্র
হজের সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ দিন, এর পরের দিন পালিত হবে ঈদুল আজাহা।তবে যদি ৬ মে
সন্ধ্যাই জিলহজের চাঁদ না দেখা যায় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ঈদ উদযাপিত হবে ১৭ মে ।যেহেতু বাংলাদেশে মধ্যপ্রাচ্যে একদিন পর ঈদ হয় সেই হিসাবে ১৬বা১৭ মে ঈদ পালন
করবেন বাংলাদেশ ও ভারতের মুসলমানরা।
আরও পড়ুন-দোয়া কবুলের আয়াত
কোরবানি ঈদ হওয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
- হযরত ইব্রাহিম (আঃ) একদা স্বপ্নে দেখলেন কে যেন তাকে বলছেন হে আল্লাহর বন্ধু আপনি আল্লাহ্র রাস্তায় কোরবানি করুণ। নবীর ওপর স্বপ্ন আদেশ ওহীর সমতুল্য তাই হযরত ইব্রাহিম (আঃ) স্বপ্নে কোরবানির আদেশ পেয়ে অস্থির হয়ে পরলেন। অনেক চিন্তা ভাবনা করে তিনি দুম্বাত-উট কোরবানি করে দিলেন।২য় রাতে তিনি আবার স্বপ্নে দেখলেন একজন তাকে বলছেন নবী আল্লাহ্র রাস্তায় কোরবানি করুন ।এইবারেও নবী ২০০ উট কোরবানি করলেন ।অতঃপর ৩য় রাতে তিনি একই স্বপ্ন দেখলেন.৩য় বারেও তিনি ২০০ উট কোরবানি করলেন।৪র্থ রাতে তিনি স্বপ্নে দেখলেন কে যেন তাকে বলছেন হে আল্লাহ্র বন্ধু আপনি আল্লাহ্র রাস্তায় আপনার প্রিয় সন্তান কে কোরবানি করুন।
- এইবারের স্বপ্ন দেখে তিনি হতবুদ্ধি হয়ে গেলেন তার সন্তান বলতে হয্রত ইসমাইল (আঃ) ছাড়া আর কেউ নেই। সেই সন্তান তার নির্বাসিত মাতার নিকট থাকেন নবি তাদের সাথে তেমন সম্পর্ক পর্যন্ত রাখেনি। এইরকম অবস্থায় এমন আদেশ তিনি কিভাবে কার্যকারী করবেন এ ভেবে অস্থির হলেন।ভোর বেলা শাহেরা বিবির কাছে তার স্বপ্নের কথা আলোচনা করলেন এবং নবীর দেখা এই সপ্ন অতি তাড়াতাড়ি কার্যকর করতে বল্লেন।হযরত ইব্রাহিম (আঃ) অত্যন্ত ভারাক্লান্ত মন নিয়ে মক্কার পথে যাত্রা শুরু করলেন।
- সঙ্গে তিনি এক খানা সুরী ও রশি নিলেন।মক্কা পোঁছে তিনি হাজিরার আস্থানায় গিয়ে বসলেন। সেখানে তিনি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে হাজিরাকে বললেন তুমি ইসমাইল কে ভালো পোশাক পরিয়ে আঁতর গোলাপ লাগিয়ে উত্তম রূপে সাজিয়ে দাও ইসমাইল (আঃ) কে নিয়ে আমি এক দাওয়াত এ যাব। সম্পর্ক বিহীন পিতা পুত্রের মাঝে নতুন গভীর সম্পর্ক হওয়া দেখে মাতা হাজিরা অনেক খুসি হলেন এবং ইসমাইল (আঃ) কে উত্তম রূপে সাজিয়ে দিলেন।হযরত ইসমাইল (আঃ) এর বয়স ছিল তখন ৯ বছর দেখতে ফুটফুটে সুন্দর । হযরত ইব্রাহিম (আঃ) পুত্রকে নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন।ইতই মধ্যে শয়তান এসে বিবি হাজিরা কে বললেন তোমার পুত্র ইসমাইল কোথায় গিয়েছেন। হাজিরা বললেন তার পিতার সাথে দাওয়াতে গিয়েছেন। শয়তান বললেন সমস্ত কথা মিথ্যা তোমার স্বামী কোরবানির করার জন্য আল্লাহ্ তায়ালার আদেশ পেয়েছেন। সেই মর্মে ইসমাইল কে কোরবানি করার জন্য এক নিভৃত স্থানে মিয়ে যাচ্ছেন।
- বিবি হাজিরা মানুষের রূপ ধারি শয়তান কে বললেন যদি আল্লাহ্ তায়ালা কোরবানির মাধ্যমে ইসমাইল কে কবুল করেন তবে আলহামদুলিল্লাহ্ এতে আমার মন খারাপ করা বা রাগার কোন কারন নেই। শয়তান যখন এখানে কোন সুবিধা করতে পারলেন না তখন হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর নিকত যেয়ে পিছন থেকে ইসমাইল (আঃ) কে বলল ইসমাইল তুমি কোথায় যাচ্ছও।
- ইসমাইল (আঃ) বললেন আমি পিতার সাথে দাওয়াত খেতে যাচ্ছি।শয়তান বলল দাওয়াত ঠিক আছে কিন্তু কোন খাবার দাওয়াত নয় আল্লাহ্ তায়ালার নির্দেশে তোমাকে কোরবানি করার দাওয়াত।একটু পরে তোমার গলায় ছুরি চালিয়ে আল্লাহ্র নামে তোমাকে কোরবানি করা হবেন ।হযরত ইসমাইল (আঃ) তখন বললেন আল্লাহ্ তায়ালা যদি আমার কোরবানি নির্ধারণ করে থাকেন তবে আমার ধন্য কপাল এতে আমার আপত্তির কোন কারন নেই। অতঃপর তিনি পিতার উদ্দসে বললেন হে পিতা পিছন থেকে কে যেন বলছেন আপনি আমাকে কোরবানি করার জন্য আপনি আমাকে নিয়ে যাচ্ছেন।
- তখন হযরত ইব্রাহিম (আঃ) বলছেন শয়তান তোমার সাথে প্রতারণা করছেন তুমি ওর প্রতি ৭ খণ্ড পাথর নিক্ষেপ করো। হযরত ইসমাইল (আঃ) তার পিতার কথা অনুযায় ৭ খন্ড পাথর নিক্ষেপ করলেন শয়তান দড়িভীত হলো। আর এই পাথর নিক্ষেপ হজ আদায় এর জন্য একটি জরুরী শর্ত সুন্নাত হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে ।হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এক মিনার নিভৃত স্থানে যেয়ে থামলেন এবং পুত্রকে বললেন হে আমার প্রিয় সন্তান আমি ৪ রাত ধরে স্বপ্ন তে কোরবানি করার আদেশ পাচ্ছি । আদেশ মানার জন্য আমি ৬০০ টি উট কোরবানি করেছি।
- শেষ বারে আমার প্রিয় সন্তান কে কোরবানি করার আদেশ পেয়ে তোমাকে আল্লাহ্র নামে কোরবানি করার উদ্দেশে এখানে নিয়ে এসেছি ।হযরত ইসমাইল (আঃ) পিতার মুখে এই কথা শুনে বললেন আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্ তায়ালার এইরকম নির্দেশ আমার জন্য অনেক বড় ভাল কপালের বিষয় আমাকে আল্লাহ্ আতায়ালা কবুল করেছেন আর তাই আমি অত্যন্ত আনন্দিত । ইসমাইল (আঃ) আরো বললেন হে আমার পিতা আপনি এই কাজ করার ক্ষেত্রে আমাকে ধৈর্যশীল দেখতে পাবেন আপনি আর বিলম্ব না করে আল্লাহ্ তায়ালার আদেশ অনুযায় কাজ আরম্ভ করুন । হযরত ইব্রাহিম (আঃ) বললেন ইহা আমি কিভাবে সমাদার করবো । ইসমাইল (আঃ) সাথে সাথে বললেন প্রথমে আমার হাত পা বেধে নিন , বিপরীত দিকে কাধ করে শুয়াই নিন যাতে আপনি আমার সরাসরি মুখমণ্ডল না দেখতে পারেন তারপর আমার গলাই ছুরি চালান করুন এতে আপনি অবশ্যই সফল হবেন। ৩য় তো আমার রক্তে মাখা কাপড় আমার আম্মার কাছে পোঁছে দিবেন তিনি এগুলো দেখে আল্লাহ্র আদেশের ওপর খুশি থাকবানে এবং আমার কথা সরন করে কিছুটা সস্তি লাভ করবেন ।
- কারণ তার আর কোন সন্তান নেই যার দিকে তাকিয়ে তিনি সস্তি লাভ করতে পারেন। অতঃপর হযরত ইব্রাহিম (আঃ) তার সন্তানের কথা অনুযায় রশি দিয়ে হাত পা বেধে উলটা কাধ করে শুয়াই দিলেন এবং তার আনা ধারালো ছুরি বের করে বিসমিল্লাহ আল্লাহুয়াআক্কবর বলে ইসমাইল (আঃ) এর গলাই ছুরি চালাই দিলেন ।কিন্তু তার ছুরি চালানোই কোন কাজ হলো না।ধারালো ছুরি ইসমাইল (আঃ) এর চামড়াই কন ক্ষত সৃষ্টি করতে পারলোনা ।তারপর ইসমাইল (আঃ) তার পিতা কে বললেন হে আমার পিতা সন্তান এর দিক তাকাই তাকে জবাই করা অত্যন্ত কঠিন কাজ যা আল্লাহ্ তায়ালা পছন্দ করছেন না।অতএব আপনি কাপড় দিয়ে আপনার দুটি চোখ বেধে নিন যাতে আপনি আমার চেহেরা দেখতে না পান তাতে আপনার চেষ্টা কাজে আসবে।হযরত ইব্রাহিম (আঃ) হযরত ইসমাইল (আঃ) এর পরামর্শে নিজ চোখ বেধে নিলেন এবং বিসমিল্লাহ্ বলে ছুরি চালালেন।
- অবশেষে আল্লাহ্ তায়ালা তার নবীর শেষ চেস্টা দেখে সন্তুষ্ট হলেন।যার পরিনামে আল্লাহ্ তায়ালা জিব্রাইল (আঃ) এর মাধ্যমে জান্নাত থেকে আনা এক দুম্বা কে জবাই এর উদ্দশে ইসমাইল (আঃ) এর পরিবর্তে শুয়াই দিলেন ইসমাইল একটু দূরে দাড় করাই রাখলেন যার সামান্য লেশ পরিমান বোঝা নবির পক্ষে সম্ভব হয়নি। ইব্রাহিম (আঃ) জবাই এর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছেন বলে আলহামদুলিল্লাহ বললেন এবং চোখের কাপড় খুলে ফেললেন। তখন তিনি চোখ খুলে যা দেখলেন তখন তা তার বিশ্বাস হলো না।তিনি হাত দিয়ে চোখ মুছে চারিদিকে তাকালেন এবং ভালো ভাবে দেখে তিনি অবাগ হয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেলন।হযরত ইসমাইল (আঃ) নির্বাক হয়ে পিতার দিকে তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ পর পিতা পুত্রের কাছে গিয়ে জরিয়ে ধরলেন এবং দুই চোখের পানি ছেরে দিয়ে পাঠ করলেন (সুবাহানাকা আল্লাহ্ হুম্মাহ)। অতঃপর শুক্রিয়া নামাজ আদায় এর জন্য দাড়িয়ে গেলেন।
- এই মুহূর্তে হযরত জিবরাইল (আঃ) সেখানে অবতীর্ণ হলেন তিনি সজোরে উচ্চারণ করছিলেন আল্লাহুয়াক্কাবার আল্লাহুয়াক্কাবার লা ইলাহা ইল্লাল লাহ। অতঃপর তিনি হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে বললেন হে আল্লাহ্র বন্ধু আল্লাহ আপনাকে সালাম প্রেরণ করেছেন।আল্লাহ্ তায়ালা নবীকে লক্ষ্য করে আরও বলেছেন হে ইব্রাহিম তুমি আল্লাহ্ তায়ালার উদ্দেশে তোমার স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করেছো নিঃসন্দেহে এতা ছিল একটা মহা পরীক্ষা ।আমি এভাবে আমাদের সৎ ও উদার বান্দাদের পুরস্কার করে থাকি। আমি সন্তান কোরবানি বদল করে পশু কোরবানি পুরষ্কার করেছি। এক্ষেত্রে আরও যা দেবার তা পরকালের জন্য রইল। আমি আমার সৎ ও নিষ্ঠা বান বান্দাদের পুরষ্কার দিয়ে থাকি।ইব্রাহীম (আঃ) আমার ইমানদার কৃতজাত বান্দাদের মধ্যে অন্যতম।তাকে ইশাহাক নামক আর এক পুত্রের সংবাদ দিচ্ছেন যিনি নবী হিসাবে আমার সৎ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত থাকবেন ।হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহ্র পেরিত সুসংবাদ শুনে অত্যন্ত খুশি হলেন এবং তার দরবারে শুক্রিয়া আদায় করলেন ।অতঃপর তিনি পুত্র ইসমাইল কে নিয়ে বিবি হাজেরার নিকট গেলেন এবং হাজেরা কে সব খুলে বললেন।হাজেরা তখন আল্লাহ্র নিকট শুক্রিয়া আদায় করলেন।
কোরবানি ঈদে মানুষের ফ্রীজ কেনার চাহিদা
২০২৫ সালের কোরবানির ঈদে মানুষের ফ্রীজ কেনার চাহিদা অনেক ।মানুষের একটু
সামর্থ্য হলে তারা তাদের পরিবারের জন্য সুন্দর ফ্রীজ কিনতে অনেক আগ্রহ হন।কোরবানির মাংস রাখার জন্য সকলের ফ্রীজ অনেক দকাকারি একটি পণ্য।কোরবানি ঈদ এর
আগে অনেক ফ্রীজ কোম্পানি ফ্রীজ প্রতি ১০০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা ছাড় দিয়ে থাকেন।আবার সকলের সুবিধার্থে অনেক কোম্পানি কিস্তির সুবিধা করে দিয়েছেন।এর মধ্যে
ওয়াল্টন ফ্রীজ কোপম্পানি অন্যতম।কথায় আছে না বাঙালি কোরবানি দিক আর না দিক
ফ্রীজ কিনাতে বেশি উৎসাহ দেখায়।
বাংলাদেশের ওয়াল্টন কোম্পানি মানুষের মনে একটা জায়গা করে নিয়েছে। দাম হিসাবে
ওয়াল্টন ফ্রীজ অনেক ভালো।অনেক মানুষ এর কাছে ওয়াল্টন ফ্রীজ একধরনের স্বপ্ন।
ওয়াল্টন কোম্পানি সকলের সুবিধার্থে সহজ কিস্তিতে ফ্রিজ দিয়ে থাকে এবং
অফার দামে ফ্রীজ দিয়ে থাকেন। ৩০০০০ হাজার থেকে ৫০০০০ হাজার টাকার মধ্যে
ওয়াল্টন ফ্রীজ অনেক ভাল হবে।
কোরবানি পশু কি দেখে কিনতে হবে
২০২৫ সালের কোরবানির ঈদের জন্য পশু কেনার সময় যার যত টুকু সামরথু অনুযায় সেরা পশু কিনতে হবে। পশু
নিয়ে সোয়াপ করা যাবে না যে আমি সবচেয়ে ভালো পশু কিনেছি। পশু কেনার টাকা হতে হবে
হালাল।অনেক মানুষ বেশীর ভাগ গরু কোরবানি দিয়ে থাকে সাথে সামর্থ্য
অনুযায় ছাগল , দুম্বা ও কোরবানি দিয়ে থাকেন।
পশু কেনার পরে নিজ হাতে খাওয়াতে হবে।পশু কে ভালো বাসতে হবে এক কথায় ভালো
বাসার এইপ্রানি টাকে আল্লাহ্ নামে কোরবানি দিতে হবে। মনে রাখতে হবে যিনি
কোরবানি দিচ্ছে সে যেন ইব্রাহিম(আঃ) এবং যেইটা কোরবানি দিচ্ছে সেইতা যেন ইসমাইল( আঃ) হয়। এক কথায় প্রিয়
বস্তুটা কে কোরবানি দিতে হবে এবং সামর্থ্য অনুযায় সেরাটা কিনতে হবে। কোরবানি
পশুর কি দেখে কিনতে হবে তা হলো ঃ
- সুন্দর ,সুস্থ, সবল হতে হবে।
- লেংড়া , কানা,অতি দুর্বল পশু কোরবানি হবে না।
- কোরবানি আল্লাহ্র সন্তুষ্টের জন্য দিতে হবে মাংস বেশী হবে এইরকম মনভাব নিয়ে কোরবানি দিলে কোরবানি হবে না।
- উপযুক্ত পশু কিনতে হবে।
আরও পড়ুন-
বাইক এক্সিডেন্ট ও এর সতর্কতা
কোরবানি পশু জবাই এবং গোসত ভাগ করার নিয়ম
- পশু জবাই করার সময় বিসমিল্লাহ্ বলে জবেহ করতে হবে।
- আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে যেন পশু না জবাই হয় এই বিসয় তা খেয়াল রাখতে হবে ।
- পশু জবাই করার আগে ছুরি সহ মাংস কাটার যাবতীয় যন্ত্র পাতি ধার করে রাখা।পশুর সামনে যন্ত্র পাতি ধার না দেওয়া।
- গরুকে সুন্দর করে গোসল করিয়ে সাজিয়ে রাখা।
- কোরবানির সময় পশুকে পশুর বাওম কাতে শুয়ানো এবং সে সময় পা গুলো পশ্চিম দিকে থাকবে।
কোরবানি মাংস ভাগ করার নিয়ম হলোঃইবনে আব্বাস (রাঃ) মত অনুযায় কোরবানির মাংস ৩ ভাগ করা উত্তম তবে এইটা
আবশ্যক নয়। আপনি একভাগ নিজে খাবেন এক ভাগ আত্নিয় স্বজন প্রতিবেশিদের দিবেন
আরেক ভাগ গরিব দুঃখী দের মাঝে বন্টন করে দিবেন এটি উত্তম কিন্তু এটি আবশ্যক
নয়।পুরো গোস্ত যদি আপনার লেগে যায় তাহলে আপনি ভোগ করতে পারবেন।আর যদি
আপনার পুরো গোসত না লাগে তাহলে আপনি আপনার গরিব প্রতিবেশী আত্মিয় দের দেন।সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের দান করুন।আল্লাহ তায়ালা বলেছেন কোরবানির গোসত
তোমরা নিজেরা খাও এবং গরিব দুঃখী সুবিধা বঞ্চিতদের দান করো।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আসসালামু আলাইকুম। আমার নাম তারেক মাহমুদ।আমি এই পোস্ট এর লেখক।আমি এই
পোস্ট এ ২০২৭ সালের কোরবানির ঈদ কত তারিখে, কোরবানি ঈদ কি, কোরবানি ঈদের
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, কোরবানি ঈদে মানুষের ফ্রীজের চাহিদা, কোরবানির পশু কি দেখে
নিতে হয় এবং কোরবানি পশু জবাই করার নিয়ম ও মাংস ভাগ করার নিয়ম সুন্দর ভাবে তুলে
ধরেছি।আমি আশা করবো যে আপনরা সকলে আমার লেখা আর্টিকেলটা মন দিয়ে পড়বেন। আর
আমার লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আশা করি সকলে সুন্দর
ভাবে ঈদুল আজাহা উদযাপন করবেন।আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট লেখার জন্য পাশে থাকবেন।"ধন্যবাদ"
আরও পড়ুন-
নামাযের জন্য ১০ টি সূরা
সুন্দর লিখেছো ভালো হইসে তোমার লিখা ।
অনেক information সহ লিখেছো এই জন্যে ভালো লাগলো পড়তে