হালাল ও হারাম খাবারের তালিকা
আরও পড়ুন-মজাদার গল্প
হালাল হারাম বেছে খাওয়া শিখতে হবে ।আল্লাহ্ তায়ালা বলে দিয়েছেন যে কোন খাবার হারাম আর কোন খাবার হালাল।হারাম কোন খাবার কখনও খাওয়া যাবে না ।সব সময় হালাল খাবার খেতে হবে এবং হারাম থেকে বিরত থাকতে হবে ।হারাম খাবার খাওয়া মানুষ কে আল্লাহ্ তায়ালা পছন্দ করে না
আসসালামু আলাইকুম । আমি তারেক মাহমুদ। আমার এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমি কিছু সংখ্যক হালাল-হারাম খাবার তুলে ধরেছি। সবাই হালাল খাবার খাবেন । রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার কোন গুলা যানতে এইখানে ক্লিক করুন
পানঃ-খাওয়ার ক্ষেত্রে ইসলাম যা বলেন তা হলো, জর্দা বা নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার হারাম। পান পাতা কে হারাম বলার কনো দলিল নেয়, কারন পান পাতার মধ্যে কনো ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায় নি।চুন এ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে কিন্তু তা হারাম এর মধ্যে পরে না। পান এর সাথে যদি জর্দা বা নেশাজাতীয় দ্রব্য দিয়ে খাওয়া হয় তাহলে সেটি খাওয়া হারাম ,কারন জর্দার ক্ষতির দিক রয়েছে যা ইসলাম এর দৃষ্টি তে হারাম ও নিষেধ ।তাই বলা যায় , পান পাতা হারাম না কিন্তু এর সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য দিয়ে খেলে তখন পান খাওয়া হারাম হয়ে যাবে ।
চিংড়ি ঃ- চিংড়ি যেহেতু এক ধরনের মাছ তাই , চিংড়ি খাওয়া হারাম হবে না ।অনেক আগে চিংড়ি মাছ কে নিয়ে অনেক সমালচনা হইত, কেউ বলতো এটি মাকরুহ কেউ বলতো এটি হারাম আর এখন তো পরিস্কার ভাবে বলা যাই যে চিংড়ি মাছ হালাল খাবার। এই মাছের অনেক উপকারিতা আছে ,এই মাছ শরীরের জন্য অনেক উপকার ।
বস্তুত প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতেঃ- চিংড়ি হলো আর্থোপোডা পর্বের অন্তর্ভুক্ত কিন্তু মাছ কর্ডাটা পর্বের অন্তর্ভুক্ত। চিংড়ির দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান, যা কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায় না। এ কারণে তাদের মতে চিংড়িকে মাছ বলা হলেও মাছ নয়।
তবে চিংড়ি কোনো মাছ না হলেও যারা এটা খায় তারা একে কোনো পোকা হিসেবে খায় না; বরং মাছ হিসেবেই খায়, তাই ফকিহদের এক বিশাল অংশ একে মাছ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, এটা হারাম হতে পারে না; বরং এটি হালাল।
তাই বলা যাই , চিংড়ি মাছ খাওয়া হালাল ।
আরও পড়ুন-নামাযের জন্য ১০ টি সূরা
কাঁকড়া ঃ-পানিতে বসবাসকারী প্রাণীর ভেতর শুধু মাত্র মাছ খাওয়া বৈধ। কাঁকড়া খাওয়া জায়েয নেই। কারণ ‘কাঁকড়া’ কুরআন শরীফে বর্ণিত “খবাইস” এর অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ বলেন,
ويحل لهم الطيبات ويحرم عليهم الخبائث
অর্থ: এবং তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষণা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ।
সুরা আরাফ আয়াত-১৫৭
উপরন্তু নবিজি স: বলেন,
عن ابن عمر رضي الله عنه، قال قال رسولُ الله صلى الله عليه وسلم أحلَّت لَكُم ميتتانِ ودَمانِ فأمّا الميتَتانِ فالحوتُ والجرادُ وأمّا الدَّمانِ فالكبِدُ والطِّحالُ
অর্থ: আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা:) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: তোমাদের জন্য দু’ প্রকারের মৃত জীব ও দু’ ধরনের রক্ত হালাল করা হয়েছে। মৃত জীব দু’টি হলো মাছ ও টিড্ডি এবং দু’ প্রকারের রক্ত হলো কলিজা ও প্লীহা।
সূত্র: ইবনে মাযাহ হাদিস: ৩৩১৪ মুসনাদে আহমাদ-৫৭২৩ (হাদিস সহিহ)
উপরোক্ত আয়াত এবং হাদিসকে সামনে রেখে বলা হয়েছে,
ولا يحل حيوان مائى الا السمك
অর্থ: পানিতে বসবাসকারী প্রাণীর ভেতর শুধু মাছ ছাড়া অন্য প্রাণী বৈধ নয়।
সূত্র: রদ্দুল মুহতার খ:৯ পৃ:৪৪৪
কিন্তুঃএই মাসয়ালা নিয়ে আলেমদের মধ্যে দ্বিমত আছে। বিশুদ্ধ বক্তব্য হচ্ছে, কাঁকড়া খাওয়া জায়েজ। যদি কারো খেতে রুচি হয়, তিনি খেতে পারবেন। যেহেতু নবী (সা.) হাদিসের মধ্যে বলেছেন, ‘সমুদ্রের অথবা নদীর যেই মৃত প্রাণী আছে, সেগুলো সবটাই হালাল।’ এর মধ্যে কাঁকড়াও অন্তর্ভুক্ত হবে এবং কাঁকড়া খাওয়াও হালাল হবে।
নবীর (সা.) হাদিস দ্বারা এটি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তবে আলেমদের মধ্যে এই মাসয়ালা নিয়ে একটু বিতর্ক আছে।
এটি মূলত রুচির বিষয়। যদি কেউ খেতে চান, খেতে পারেন। আপনি যদি কাউকে জোর করে খাওয়াতে চান, তাহলে তার হয়তো সমস্যা তৈরি হতে পারে। (মাকরুহ)
লেখকের শেষ মন্তব্য
আমার নাম তারেক মাহমুদ । আমি এই পোস্ট এর লেখক। আমি এই পোস্ট এ হালাল হারাম সম্পর্কে লিখেছি । সকল মানুষের উচিৎ হালাল খাবার খাওয়া । আল্লাহ্ আমাদের রিযিকদাতা তিনি আমাদের জন্য অনেক ভালো ভালো খাবার আমাদের খেতে দিয়েছেন । তার সাথে কিছু সংখ্যক খাবার আমাদের জন্য হারাম করছে আমাদের সকলের উচিৎ হারাম খাবার না খাওয়া। দোয়া কবুল হওয়ার আয়াত- পড়ুন
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url